Part-1
Middle grade- meaning books intended for kiddos between 8 to 12 y/o! But age is just a number, you know! I am an adult and I’ll choose these books in the blink of my eyes!
Some of these I’ve read when I was a middle grader/ or just a kid who started her reading journey! And I’ve special feelings for them! These books helped me to become who I am right now! As an adult, as a book lover, as a teacher- I want to recommend these books for the young ones, for my adorable students!
As I have so many books to suggest, thus, I’m making it as a series! Today’s the part one-
প্রথম অংশে আমি আজ সাজেস্ট করবো, আমার পড়া বাংলায় লিখিত কিংবা অনূদিত কিংবা বাংলা লেখকদের লিখা তোমাদের জন্য বই! তো শুরু করা যাক-
১. গুপীগাইন বাঘাবাইন || উপেন্দ্রকিশোর রায়
“আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে”♪♪
সুরখানা চেনা লাগছে? যদি লেগে থাকে তাহলে যেনে রেখো- কালজয়ী এক গানের কলি তোমার জানা আছে! আর না জানা থাকলে, শুনেই দেখো না, ইউটিউবে খুঁজলেই পেয়ে যাবে!
♩ মিষ্টি এই গানটি বিখ্যাত এক মুভির- নাম হীরক রাজার দেশে! নামটিও কত্তো মধুর-তাই না! আজ কিন্তু আমি ছবি নিয়ে কিছু বলবো না, বলবো ছবিটির চরিত্রে আছেন- সেই গুপী এবং বাঘাদের নিয়ে! তারা কিন্তু বিখ্যাত এক বইএর চরিত্র! বইয়ের নাম তাদের নামেই- গুপীগাইন এবং বাঘা বাইন!
উপেন্দ্রকিশোর একদম শিশুদের জন্যই বইটি লিখেছেন! রূপকথার আদলে লিখা এই বইটি আমি বাচ্চাদের অবশ্যই পড়তে বলবো! এখানে একজন খুব বাজে গান গায়, আরেকজন এত্তো খারাপভাবে ঢোল বাজায়- কী বলবো! এই দুজনের দেখা হলো, এরপর তারা কত্তো কত্তো মজার কাণ্ড করলো!
বইটি কেন পড়বে? যেহেতু ক্লাসিকাল বই- তাই, তখনকার সময়কার ভাষা কিংবা পরিবেশ কেমন ছিলো, তা জানতে পারবে।
গুপী এবং বাঘা কেমন করে জিরো থেকে হিরো হলো, কী করলো তারা শুন্ডি এবং হল্লা রাজার দরবারে- তাদের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা তোমাদের মুগ্ধ করবে এবং হাসাবেও!
২. বাড়ি থেকে পালিয়ে || শিবরাম চক্রবর্তী
বাবাকে যমের মতোন ভয় পায় ১৪ বছরের কাঞ্চন! সে থাকে এক অজানা পাড়াগাঁয়ে! কিন্তু যেনো-তেনো ছেলে নয় সে- এক্কেবারে দুষ্টের রাজা! তার দুষ্টুমিতে সবাই অতিষ্ঠ!
একদিন বামুনের ছেলেকে এমন শায়েস্তা করলো – যে ঘটনা বাবার কান অব্দি পৌঁছে গেলো! এখন কী হবে- বাবার হাত থেকে কে বাঁচাবে? কাঞ্চন সাহেব করলেনটা কী, তিনি পালালেন – গ্রাম থেকে অনেক দূরে -কলকাতায়! আজব এই শহরে পালিয়ে যাওয়ার পর কাঞ্চনের অভিজ্ঞতার কাহিনি নিয়েই মজার এই গল্প!
যদিও এই বইটিকে আমি শিশু-সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা না করে বরঞ্চ কিশোরসাহিত্য বলবো! তবুও যাঁরা বড় আছেন- তাঁরা পড়ে শোনাতে পারেন!৷ কেন পড়বে? দস্যি এক ছেলের রোমাঞ্চকর অভিযান – যে শহর তার সম্পূর্ণ অজানা, সেখানে সবকিছুতেই তার বিস্ময়! তার কিছু প্রশ্ন এমন যে, ” যে শহরে এতো ধনী মানুষ, এতো খাবার দোকান, সে শহরে মানুষকে কেন কুকুরের কাছ থেকে ডাস্টবিনের খাবার কেড়ে নিতে হবে?” একবার ভাবো- ছোট্ট এক বাচ্চা, তার ভাববার দৃষ্টিকোণ কতো গভীর!
কাঞ্চনের এই অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তোমাদেরও আগ্রহী করে তুলবে আজনাকে জানতে, অচেনাকে চিনতে, তোমাকে শিখাবে ভাবতে!
৩. শঙ্কু সমগ্র || সত্যজিৎ রায়
ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু মহাশয় ছিলেন অতি মেধাবী ছাত্র, তাই মাত্র বিশ বছরেই কলেজের অধ্যাপক হয়ে গেলেন! তাঁর আরেকটি পরিচয় আছে- তিনি একজন বাঙালি বিজ্ঞানী! যে সেই রকমের নন-আবিস্কারক বৈজ্ঞানিক! তার আবিষ্কারগুলো যেমন অদ্ভুত, তাদের নামগুলোও অদ্ভুত!
কেন পড়বে? প্রথমেই বলে রাখি, পুরো শঙ্কু সমগ্র কিন্তু ডায়েরি আকারে লিখা! কী মজার ব্যাপার তাই না! ইংরেজিতে তোমরা যারা ডায়েরি অব আ উইম্পি কিড পড়েছো, তারা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারবে, ডায়েরি আকারে লিখা কেমন হয়! তবে আমাদের প্রফেসর শঙ্কু কিন্তু উইম্পি কিড থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম! বিজ্ঞানী হলেও, তিনি মজার লোক! বিজ্ঞানের কচকচের ভিতর সীমাবদ্ধ থাকেন নি! ছিলেন সৎ, সাহসী, ভ্রমণ প্রিয়!
বইটি তোমার কল্পনার জগৎ কেবল আলোকিত- ই করবে না, তুমি প্রকৃতি এবং ভৌগোলিক অনেক রহস্যের কথাও জানতে পারবে- সাথে বিশ্ব ভ্রমণ তো হলোই! আর সত্যজিৎ রায়ের চমৎকার অনবদ্য স্কেচগুলো দেখে তুমি অভিভূত-ও হবে!
আফসোসের বিষয় লেখক সাহেব শঙ্কুর অভিযান শেষ করে যেতে পারেননি, তবে জীবনের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি শঙ্কুর কাহিনি কলমে এঁকে- লিখে গিয়েছেন।
৩. মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি || শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
একটি ছবি- অদ্ভুত ছবি, ছবিটি যার তাকে কেউ চিনে না, আবার সে পরিবারের কেউ না- তাহলে ছবিটা কার? ছবির পরিচয় খুঁজতে গিয়েই রহস্যের শুরু!
অদ্ভুতুড়ে সিরিজের প্রথম বই এবং কী কী নেই এখানে! বৈচিত্র্যতা, রহস্য এবং হাসির ছোটাক! ছোটরা খুব মজা পাবে পড়ে! মনোজদের বাড়িতে থাকা লোকজন এবং তাদের অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড নিয়ে বইটি কিন্তু আমি এক বসাতেই পড়ে ফেলেছিলাম! এবং সিরিজের পরবর্তী বইগুলোর জন্য মুখিয়ে ছিলাম!
৪. কাবুলিওয়ালা || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পৃথিবী এখন অনেক বদলে গিয়েছে! আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন অনেকে ছোট্ট ঝুড়িতে বিক্রয় করতো- কটকটি, মিছরি কিংবা বাতাসা, অথবা কিসমিস, শমপাপড়ি এমন খাবারগুলো -যেগুলোর অনেক কিছুই এখন আর কেউ বানায়ও না, পাওয়াও যায় না [শমপাপড়ি পাওয়া যায়]! তো বিখ্যাত, প্রিয় ডিজার্ট বিক্রেতা কে আমরা ডাকতাম কটকটি ওয়ালা! কটকটিওয়ালাদের নিজস্ব ডাক দেওয়ার ভঙ্গিমা থাকতো! তার সুর করে অদ্ভুত করে ডাকতো- অনেক সময় আমরা ভয় পেতাম, ভাবতাম কী আছে ওই ঝুড়ির ভিতর! তখন কিন্তু ছেলেধরা ছিলো-[ওই কিডন্যাপার যাদের বলে! আচ্ছা, ওদের মেয়েধরা বা শিশুধরা বলে কখনোই কেন ডাকা হয় না? মেয়েরাও তো কিডন্যাপ হতো! বুঝলাম না!!]
যা হোক, তেমনি কাবুল থেকে আসা ফল বিক্রেতা আমাদের কাবুলিওয়ালা! ছোট্ট মিনির উৎসুক মন ভাবে কাবুলিওয়ালা তার ঝুড়ির ভিতর নিশ্চয়ই পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চাদের পুরে রেখেছে- তাই সে ভয় পেতো! কিন্তু আমাদের কাবুলিওয়ালা মিনির মাঝে দেখতে পেতো তার দেশ, কাবুলে ফেলে আসা তার ছোট্ট মেয়ের ছবি! খুব আদুরে এই বইটি নিয়ে কিন্তু অনেক মুভি আছে- চাইলেই দেখে ফেলতে পারো! আর পড়ে ফেলতে পারো বাবাদের অনুভূতি এবং আবেগ নিয়ে লিখা অসাধারণ এই বইটি।
৫. আম আঁটির ভেঁপু || বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
লেবু মামার সপ্তকাণ্ড || নাসির আলী
তখন ক্লাস ফোরে, ক্লাসের আমার বাংলা টেক্স বই এ একটি ছোট এক গল্প ছিলো – “বই পড়া ভারী মজা”– ওখান থেকেই চিনেছি অপু ও দুর্গা কিংবা লেবু মামাকে!
কেন পড়বে? বাংলা ভাষায় যে কত্তো মিষ্টি –আম আঁটির ভেঁপু পড়েই বুঝতে পারবে! ভাইবোনের খুনসুটি, তাদের এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া, তাদের চড়ুইভাতি – তাদের শৈশব -তোমাদের আগেরদিনের, মানে তোমার বাবা মা-র শৈশব চিনিয়ে দিবে! এই বইটি কিন্তু বিখ্যাত এক বইয়ের অংশ বিশেষ- নাম, পথের পাঁচালী! বড়ো হলে সেটিও পড়ে নিও।
কেন পড়বে লেবু মামা? লেবু মামা যেখানে- মজাও সেখানে! লেবু মামার সাত মজার কাহিনি নিয়ে তার সপ্তকাণ্ড! পড়ো আর তুমি নিজেই বড়ো হলে হতে চাইবে লেবু মামা!
৬. একাত্তরের যীশু, নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় || শাহরিয়ার কবির
‘একাত্তরের যীশু’ ছোট ছোট কিছু গল্পের সংকলন! একেকটা গল্প তোমাকে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি দিবে! বিপ্লবী হতে শিখাবে তোমাদের! ভাবতে শিখাবে! পড়েই দেখো- ভাববে -ইশ! আগে কেন পড়িনি?
‘নুলিয়াছড়ির সোনার কাহিনি’ আবির, বাবু সিরিজের প্রথম বই! যারা গোয়েন্দা হতে চাও, কিংবা রহস্য ভালোবাসো- তাদের জন্য অবশ্য পঠনীয়! উফফ! যে বয়সে আমি ঘরে বসে তাদের কাহিনি পড়ে কাটিয়েছি- সে বয়সে আবির এবং বাবু কী অসাধ্য না করে এসেছে!
৭. ছুটি || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
”মা, এখন আমার ছুটি হয়েছে মা, এখন বাড়ি যাচ্ছি। ”
আহা, কী কাঁদাই না কেঁদেছিলাম! রবি ঠাকুরের অসাধারণ ছোট গল্পের মাঝে একটি! এই বইটি তাদের জন্য যারা একটু একটু করে বড়ো হচ্ছো। কিছুদিন পর তোমরা জানতে পারবে বয়ঃসন্ধি সম্বন্ধে। এ সময়ে তোমার শারীরিক এবং মানসিক পরিচর্যা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আবেগঘন ছোট এই গল্পটি পড়ে বুঝতে পারবে।
৮. তোত্তো-চান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি|| তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
অনূবাদক: চৈতী রহমান
কেমন মজা যদি ট্রেনের কামরা তোমার ক্লাসরুম হয়! ট্রেন চলছে আর এদিকে ক্লাস হচ্ছে! নেই গৎবাঁধা বই, সিলেবাস বরং তোমাকে শোনানো হবে আজ সারাদিন কী কী পড়ানো হবে, এবং তুমিই বেছে নিবে তুমি কী পড়তে চাও! আচ্ছা, ভাবোতো এমন স্কুল- যেখানে কেবল গল্প করেই তুমি ভর্তি হতে পারবে, কোনো টেস্ট দিতে হবে না!
তুমি বলবে, যাহ, এমন স্কুল আছে না-কি!
হুম, আছে- তোমোয়ে গাকুয়েন! আর এই স্কুলে সদ্য ভর্তি হলো আমাদের তোত্তো-চান- যার, স্কুলের চার দেয়ালের চেয়ে জানালার ওপারে রাজ্যই বেশি ভালো লাগতো- হ্যাঁ, ‘ Taree Zaneen Paar’ এর ঈষানের মতোন।
মিষ্টি ছোট্ট মেয়ে তোত্তো-চান – যার মনোযোগ একদম ক্লাসে থাকে না- তাই আগের স্কুল বেচারিকে দিলো তাড়িয়ে! আর আমাদের আদুরে তোত্তো-চানকে শেষমেশ ভর্তি হলো মজার এই স্কুলে! সেখানে গিয়ে আমাদের প্রিয় তোত্তো-চান থেকে জানতে পারলাম আজব, মজার এই স্কুল, সেখানকার অসাধারণ প্রধান শিক্ষক – সোসাকু কোবায়াশী, আর শেখার অন্যরকম পদ্ধতি!
শুধু ছোট্ট সোনামণিরা নয়, আমি বলবো প্রত্যেক আব্বু-আম্মু, প্রত্যেক শিক্ষক এবং দায়িত্বশীল বড়োদের, যারা শিক্ষা নিয়ে ভাবেন- তাঁদের এই বইটি পড়তে!
শিশুর সহজাত বিষয়গুলো আমরা কীভাবে দেখছি? আমাদের দেখার এই দিকগুলো বাচ্চাদের কী পরিমাণ প্রভাবিত করে-তার চমৎকার নিদর্শন আছে এই বইতে! দাগ থেকে দারুণ কিছু- এটা এই স্কুলের বাচ্চাদের জন্যই মনে হয় সৃষ্টি হয়েছে- ময়লা কাপড় পড়ে স্কুলে আসতে তাদের সংকোচ নেই, কারণ বাচ্চারা খেলবে, তাতে ময়লা লাগবেই!
রান্না করতে গিয়ে ছোট এই শিশুরা কেবল আনন্দ নয় বরং শিখেছে তাপ কিংবা চুলোর বিপদ! টিফিন বাসা থেকে নয়- বরং পাহাড় থেকে, সমুদ্র থেকে আনছে- অভিযান হচ্ছে, পুষ্টি সম্পর্কেও জানছে!
কৃষক থেকে তারা শিখেছে কীভাবে বীজ বপন করতে হয়! যেখানে শিক্ষা মানেই রোমাঞ্চকর অভিযান- বদ্ধ রুমের মাঝে নয়, বরং বাস্তবতা দিয়ে শিখানো হয় সবকিছু! এমন সুন্দর একটি বই পড়ে না থাকলে আসলেই মিস করবে!
৯. বাবা যখন ছোট || আলেক্সান্দার রাস্কিন,
অনুবাদ: ননী ভৌমিক ||
আমাদের বাবাদের আমরা খুব ভালোবাসি! তারাই তো আমাদের সুপারহিরো! কিন্তু আমাদের বাবারাও কিন্তু একসময় পিচ্চি ছিলেন! তারাও গুটিগুটি পায়ে স্কুলে যেতেন, স্কুলের পড়া পারতেন না, কিংবা স্কুলে হয়তো যেতেও চাইতেন না! দুষ্টুমি তো করতেন, আবার তাদের বাবাদের কাছে খেতেন বকুনি! তাদের জীবনে কত্তো কিছু ঘটেছিলো! বাবাদের ছোটবেলার সেই স্মৃতি নিয়েই সুন্দর এই বই! এটিও কিন্তু অনূবাদ করা হয়েছে,,মূল বইটি লিখেছেন রাশিয়ান লেখক আলেক্সান্দার রাস্কিন, আর বাংলায় মিষ্টি করে অনুবাদ করেছেন- ননী ভৌমিক!
১০. হ-য-ব-র-ল || সুকুমার রায়
আচ্ছা, তোমরা তো ক্লাসে নামতা -ইয়ে মানে নাম্বার টেইবল পড়ো, তাই না?
আচ্ছা বলোতো সাত দুগুণে (৭x২) কতো? নিশ্চয় বলবে চৌদ্দ!
উঁহু, ‘সাত দুগুণে চোদ্দের নামে চার, হাতে রইলো পেন্সিল! ‘ হাহাহা!
হযবরল এর অর্থ জানো? মানে এলোমেলো, বিশৃঙ্খল অবস্থা!
এই বইটির গল্পগুলোও তাই! এক্কেবারে দিকবিদিকশুন্য! তুমি পড়বে, আর কেবল হাসতেই থাকবে, হাসতেই থাকবে!
চমৎকার এই বইটি সুকুমার রায়ের লিখা!
১১. আবোল তাবোল || সুকুমার রায়
‘বাবুরাম সাপুড়ে
কোথা যাস বাপুরে
আয় বাবা দেখে যা
দুটো সাপ রেখে যা!“
কে লিখেছেন বলো তো? কে আবার, বাংলায় আমাদের একজন ই আছেন, যিনি মজার মজার এরকম ছড়া লিখে গিয়েছেন- তিনি আর কেউ নন- সুকুমার রায়! বইয়ের নাম দেখেই নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছো- ছড়াগুলো কেমন মজার! তার সাথে পাতায় পাতায় চমৎকার ইলাস্ট্রেশনগুলো চোখ জুড়িয়ে দেয় !-
সহজ আর একদম যেনো বুঝতে কষ্ট না হয়, এমন করেই লিখেছেন, আমাদের জাদুকর সুকুমার রায়!
বি.দ্র. : এক্সট্রা রিকমেন্ডেশন- পাগলা দাশু , হেশোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরি
১২. Her Stories: Adventures of Supergirls || Amit Ashraf, Ishrat Jahan, Namira Hossain, Nisha Ali, Nuhash Humayun, Rafee Shams, Sifat Zaman||
তোমরা ভাবছো কী ব্যাপার! আজ তো বাংলা বই রিকমেন্ডেশন করার কথা! বইটি ইংরেজিতে কিন্তু লিখেছেন বাংলাদেশেরই ক’জন তরুণ-তরুণী! আর কাদের নিয়ে লিখেছেন জানো? ‘Her Stories’ মানে বাংলার শক্তিশালী কিছু অসাধারণ নারীদের গল্প নিয়ে! তারা সুপারগার্ল বটে! আমি তো মনে করি, আমার আম্মুই একশো! হ্যাঁ – এই বইয়ে মা’দের জন্যও একটি অধ্যায় আছে!
আর, প্রতিটি গল্প জুড়ে আছে চমৎকার ছবি!
কেন পড়বে? আমি বলবো, মেয়েরা তো বটেই, ছেলেদের-ও পড়া উচিত! মেয়েরা কোনো অংশেই ছেলেদের চেয়ে পিছনে নেই, তুমি মেয়ে বলে -তুমি পারবে না- এ কথার কোনো ভিত্তি নেই!
১৩. পিপলী বেগম || হুমায়ূন আহমেদ
বইয়ের ফ্ল্যাপে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন এই বইটি সেসব বাবা-মা এর জন্য, যারা ছেলেমেয়েদের গল্প শোনাতে ভালোবাসেন।
আমাদের মতোন পিঁপড়েদের জীবনও আছে! তাদের কঠিন সব নিয়মকানুন! তাদেরও সমাজ আছে- সেই পিঁপড়ের সমাজের একজন আমাদের পিপলী বেগম-কে ঘিরেই আমাদের গল্প! ভালো লাগবে।
১৪. জাফর ইকবালের শিশু এবং কিশোর সমগ্র:
জাফর স্যারের প্রথম বইটি পড়ি আমি যখন ক্লাস থ্রিতে ছিলাম- সেই থেকে আজ অব্দি – বই মেলায় নূতন বই এলেই, আমি পড়ে ফেলি!
একদম ছোটরা পড়ে ফেলতে পারো * বড় হলো ঝিলমিল , *মিতুল ও তার রোবট *, *ইচ্ছে পূরণ
যারা মনে করো- এই যাহ! আমি কি এত্তোই ছোট? তাহলে তারা পড়ে ফেলো নাট বল্টু/ টুকুনজিল/ স্কুলের নাম পথচারী / কাবিল কোহকাফী/ গ্রামের নাম কাঁকনডুবি/ আমার বন্ধু, রাশেদ / বিজ্ঞানী সফদার আলীর মহা মহা আবিষ্কার /সায়রা সায়েন্টিস্ট / হাত কাটা রবিন/ দুষ্টু ছেলের দল/ দস্যি ক’জন/ দীপু নাম্বার টু/ বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা /লিটু বৃত্তান্ত/ লাবু এলো শহরে / আমি তপু / বাচ্চাভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর/ টি-রেক্সের সন্ধানে/ বৃষ্টির ঠিকানা
এইরে- উনার বইয়ের লিস্ট শেষ হবে না! আজ আপাতত এগুলোর সাজেশন নিয়ে খুশি থাকো! আচ্ছা, কেন পড়বে? জাফর ইকবাল স্যারের বইগুলোর মূলে থাকে- পাড়ার দস্যি ছেলে- যে রোমাঞ্চপ্রিয়, বই পড়ুয়া- যে পড়ার বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই ও পড়ে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সরব, নির্ভীক, অকুতোভয়, বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করতে পিছুপা হয় না, এবং দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ! আর কি কিছু বলতে হবে?
১৫. বাবুইবেলা || রীশাম শাহাব তীর্থ
বইটি ২০২০ এর বইমেলায় এসেছে! যারা কমিক্স পড়তে ভালোবাসো, তাদের জন্য! কী মায়ায় জড়ানো,আর ছবিগুলোও যেন কথা বলে! বইটি আমি আমাদের বাবা-মা কেও পড়তে বলবো! নূতন শিশুর আগমনের বাবা-মায়ের সুখানুভূতির সেই অনুভব এত্তো আদুরে ভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক- প্রতিদিন একবার করে হলেও বইয়ের পাতা উল্টোতে মনে চাইবে তোমার।
১৬ . ছোটদের কথা রচনার কথা || শওকত ওসমান
যারা লিখতে ভালোবাসো কিন্তু, লিখতে গিয়ে কলম তো নড়তেই চায় না, তাদের জন্য চমৎকার এই বইটি লিখেছেন শওকত ওসমান। কীভাবে লিখবে ,বিষয় কীভাবে নির্ধারণ করবে , তার অতি সহজ সাবলীল ব্যাখ্যা করা হয়েছে! আমাদের ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য মাস্ট রীড!
১৭. হলদে পাখির পালক || লীলা মজুমদার
‘‘কি জানি রুমু, ঝগড়ু বলে সত্যি যে কোথায় শেষ হয়, স্বপ্ন যে কোথায় শুরু হয়ে, বলা মুশকিল।‘‘
সম্পূর্ণ ফ্যান্টাসি ঘরানায় লিখা! আমাদের জীবনে এমন একজন বন্ধু তো নিশ্চয়ই আছে যে সবসময় আষাঢ়ে গল্প বলায় পটু – ঝগড়ু তেমনি একজন! তার গল্পেরই এক চরিত্র ভুলো! বইটি পড়া শুরু করলে তোমরাও যে কখন ঝগরুর গল্পের মাঝে ডুবে যাবে, খেয়াল করতে পারবে না!
১৮. [তিন গোয়েন্দা, কঙ্কাল দ্বীপ, রূপালী মাকড়সা [তিন গোয়েন্দা, ভলিউম ১] || রকিব হাসান
রহস্য উপন্যাস হিসেবে ফেলুদা কিংবা বোমক্যাশ কিংবা কাকাবাবু সত্যি অসাধারণ! কিন্তু আমি বলবো এই বইগুলো আরেকটু উপরে উঠে পড়তে- ক্লাস সেভেন এইট-এ গিয়ে হাতে নিলে এদের আসল মজা বুঝতে পারবে!
আচ্ছা, তিন গোয়েন্দায় আসি! প্রথম ভলিউমের তিনটি গল্প-ই কিন্তু বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে সৃষ্টি- কিন্তু রকিব হাসান এত্তো সাবলীল ভাবে লিখেছেন- তোমার মনে হবে নাহ, চরিত্র গুলো তারই !
একবার শুরু করে দেখো, টুইস্ট কাকে বলে, রোমাঞ্চ কাকে বলে, অভিযান কাকে বলে, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির খেলা কেমন হয় -সবকিছুর স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে! প্রথম ভলিউম ই কিন্তু শেষ নয়- এই সিরিজ এখনো চলছে! যদিও আমি ১১০ ভলিউম এর পর আর কোনো ভলিউম পড়ি নি ।
তিন গোয়েন্দা পড়েছে অথচ কিশোর, রবিন, মুসার দলে ভিড়তে চায়নি, এমন কেউ নেই! আর আমি যখন প্রথম পড়েছিলাম, ম্যাপ ঘেটে লস এঞ্জেলস শহরের রকি বীচ তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফেলেছি — পাইনি। তোমার কেউ খুঁজে পেলে আমাকে অবশ্য জানাবে!
বি.দ্র. এক্সট্রা রিকমেন্ডেশন- টিনটিন এর অভিযান, এমিল ও গোয়েন্দা বাহিনী
১৯. স্মৃতিচারণ
নাহ! এটি কোনো বইয়ের নাম নয়, কিন্তু এখানে কিছু লেখকদের লিখা তাঁদের শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করা কিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করবো! তাদের ছেলেবেলার কাহিনি পড়ে তোমরাও চলে যেতে পারো- পুরনো সেই দিনে! একেকটা বই যেনো একেকটি হীরের খনি!
* আমার ছেলেবেলা || হুমায়ূন আহমেদ
*আধ ডজন স্কুল || মুহম্মদ জাফর ইকবাল
* ছেলেবেলা || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
* ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না || হুমায়ুন আজাদ
* আমার স্কুল || সেলিনা হোসেন
* ছেলেবেলার দিনগুলি || পূণ্যলতা চক্রবর্তী
* যখন ছোট ছিলাম || সত্যজিৎ রায়
২০. সূর্যের দিন || হুমায়ূন আহমেদ
“অসংখ্য শিশু জানলো না বড় হয়ে ওঠা কাকে বলে!”
কী শিউরে ওঠা , মন খারাপ করা উক্তি। আচ্ছা, এখন কি জানছে, এখন কি তারা ঠিকভাবে বড়ো হয়ে উঠছে? ভাবতে খারাপ লাগে, এখনকার অনেক শিশুই জানে না আমাদের স্বধীনতা দিবস কবে, বিজয় দিবস কবে, দিবসগুলোর তাৎপর্য কী, মহাত্মটা কী -যদিও ঘটা করেই সব স্কুল কলেজে এ দিনগুলো পালিত হয়ে আসছে!
কেন পড়বে?– মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানো, মুক্তিযুদ্ধের বইগুলো পড়ো, দেশকে ভালোবাসো- নিজে পড়তে না পারলে ,বড়োদের দিয়ে পড়িয়ে তা শোনো।
আজ, আপাতত এতটুকুতেই ক্ষান্ত দিচ্ছি, এগুলোর মাঝে কোনটা কোনটা তুমি পড়ে ফেলেছো? তোমার কোনগুলো ভালো লেগেছে? পরবর্তী সিরিজে আবার দেখা হবে!